বিয়ার খাওয়া আপনার পক্ষে উপকারী
ডিনার কিংবা সান্ধ্যভোজনের সঙ্গে এক গ্লাস ঠাণ্ডা বিয়ার কি আপনি পছন্দ করেন? তাহলে আপনার জন্য ভালো খবর। হ্যাঁ, বিয়ারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক উপকারিতা আছে।
মেটাবোলিজম এবং কোলেস্টেরলের জন্য ভালো
বিয়ারের মধ্যে সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের সাথে খুবই সামান্য পরিমাণ অ্যাসিড এবং অল্প পরিমাণ শর্করা থাকে বলে এটা মেটাবোলিজমের জন্য ভালো। এটা আরও ভালোভাবে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ফ্রি রাডিক্যেল ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক রোগের সাথে জড়িত। বিয়ারের পলিফেনল আদপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটা শরীরের ফ্রি রাডিক্যেলের মোকাবিলা করে।
হৃদরোগ হওয়া আটকায়
বিয়ারের মধ্যে কম পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং সোডিয়াম থাকে বলে এটা উত্তম মূত্রবর্ধিক, যা শক্তিশালী এবং ভালো ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বানায় কারণ সোডিয়াম নিষ্কৃত হলেও পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হয় না। এটা হৃদরোগ হাত থেকে রক্ষা করার সাথে গলস্টোন এবং ইউরিনারি ক্যালকুলি তৈরি হওয়া আটকায়।
স্বাস্থ্যকর মিনারেল বাড়ায়
মল্টের মধ্যে ৩০-র থেকে অধিক ট্রেস উপাদান এবং মিনারেল সুরা পাওয়া যায়, যা বিয়ারের মধ্যেও থাকে। উদাহরণস্বরূপ, এক লিটার বিয়ার প্রাত্যহিক ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদার ৩০%, ফসফরাসের ২৫% ও পটাশিয়ামের ৩০% প্রদান করে।
বাস্তবিক অসাধারণ উপায়ে চাপ-ধকল কমায়
বিয়ার পেশীর চাপ কমায় এবং এর স্নায়ুকে প্রশমিত করার গুণ আছে। কোলেস্টেরলের কম পরিমাণের জন্য চাপ কমে আরাম হয় এবং কিছু বিয়ার কার্বোনেশানও প্রশমিত করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন কোশেন্ট যোগ করে
বিয়ারের মধ্যে সামান্য পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন থাকে। প্রাথমিকভাবে ভিটামিন বি, বি১, বি২, বি৬ এবং ভিটামিন এইচ, আমাদের স্নায়ুর এবং মনঃসংযোগ ক্ষমতার জন্য ভালো। তাছাড়া, এইসব ভিটামিন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হওয়া বাড়ায়।
অ্যালকোহল তেষ্টা মেটায়
বিয়ার দারুণ তেষ্টা মেটাতে পারে এবং এর স্বাদও ভালো। অতএব, একগ্লাস হিমশীতল বিয়ার নিয়ে পছন্দের টেলিভিশান অনুষ্ঠান কিংবা গান চালিয়ে আরাম করুন। অবশ্য অতিরিক্ত খাবেন না। সবকিছুই মাত্রার মধ্যে ভালো।
১) বিয়ার যৌনউদ্দীপক- বিয়ারের আয়রন আমাদের রেড ব্লাড সেলে হিমগ্লোবিন তৈরি করে। আমাদের সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ আরও বেশি করে হয়। এর ফলে যৌন বা কাম উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে।
২) সেক্সের সময় বাড়াতে সাহায্য করে - সেক্সের সময় বাড়াতে বিয়ারের জুড়ি মেলা ভার।
৩) ত্বক ও চুলে মসৃণভাব আনে-বিয়ার ত্বকের ক্ষত, অনেকসময় ব্রনো সারাতে সাহায্য করে। চুলেও আলাদা ঔজ্জ্বল্য আনে।
৪) রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে- হার্টের রোগ সহ ছোট বড় অন্তত দশটা রোগ প্রতিরোধে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাহায্য করে বিয়ার।
৫) কর্মক্ষমতা বাড়ায়-বিয়ার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর কাজ করার ইচ্ছা বেশি খানিকটা বেড়ে যায়।
৬) ক্ষুধামন্দা দূর করে-বিয়ার খেলে খিদে বাড়ে।
৭) দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে-একটি গবেষণায় প্রকাশ নিয়মিত বিয়ার খাওয়া মানুষরা দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment