রসুনের উপকারিতা, ব্যবহার এবং অপকারিতা – Garlic (Lahsun) Benefits and Side Effects in Bengali
রসুন প্রায় প্রত্যেকের রান্নাঘরেই এক আবশ্যকীয় উপকরণ। বিশেষ স্বাদ ও গন্ধের জন্য এটি রান্নায় একটি বিশেষ ফ্লেভার সৃষ্টি করে। যেকোনো আমিষ রান্নায় যেমন মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদিতে ও বিশেষ কিছু সবজি বা তরকারি রান্নায় রসুন ব্যবহার করা হয়। আপনি জানেন কি যে রসুনের গুণ শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয় ? রসুন খাওয়ার উপকারিতা নানা রকম ভাবে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। আজ জেনে নিন রসুন ও রসুনের উপকারিতা নানা তথ্য।
রসুনের উপকারিতা, ব্যবহার এবং অপকারিতা |
Table Of Contents
1 - রসুনের ঔষধীয় গুণ – Medicinal Properties of Garlic in Bengali
2 - রসুনের উপকারিতা – Benefits of Garlic in Bengali
3 - রসুনের পুষ্টিগত মান – Garlic Nutritional Value in Bengali
4 - রসুন কয় ধরণের হয় – Types of Garlic in Bengali
5 - রসুন খাওয়ার সঠিক সময় ও পদ্ধতি – Best Way to Eat Garlic in Bengali
6 - রসুনকে বেশিদিন সুরক্ষিত রাখার উপায় – How to Store Garlic in Bengali
7 - রসুনের অপকারিতা – Side Effects of Garlic in Bengali
8 - কাদের রসুন খাওয়া উচিত নয় – Who Should Avoid Garlic in Bengali
9 - রসুনের ঔষধীয় গুণ – Medicinal Properties of Garlic in Bengali
রসুন খাওয়ার প্রচলন আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারত ও মিশরে আরম্ভ হয় ও ধীরে ধীরে এটি সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার ফলে এটি একটি ওষধীয় গুণ সমৃদ্ধ গাছ বললেও একেবারেই ভুল হবেনা
(১)। রসুনে রয়েছে এলিসিন, সালফার, জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম যা স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্য দুটির জন্যেই অনবদ্য। এছাড়া রসুনে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ সেলেনিয়াম যা ভিটামিন ই- এর সাথে মিলিত হয়ে এন্টি অক্সিডেন্ট বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে শরীর ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করে। রসুন শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন অবশ্যই যোগ করা উচিত। অবশ্য কাঁচা রসুন খেতে অসুবিধা হলে তা অন্য কোনো তরকারিতে ব্যবহার করে খাওয়া যেতে পারে।
রসুনের উপকারিতা – Benefits of Garlic in Bengali
রসুন খাওয়ার উপকারিতা নানারকম। শরীর সুস্থ রাখতে, ত্বক, চুল, দাঁত সুন্দর রাখতে রসুন অত্যন্ত কার্যকরী।
স্বাস্থ্যের জন্য রসুনের উপকারিতা – Health Benefits of Garlic in Bengali
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে রসুন এর উপকারিতা প্রচুর। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
১. ওজন কমাতে রসুন
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
ওজন কমানোর জন্যে রসুন অনবদ্য। শরীরের এডিপোস কোষগুলিকে রসুনের দ্বারা শক্ত করে এঁটে রাখা যায় যার ফলে উচ্চ পরিমানে থার্মোজেনেসিস নিঃসরণ হয়। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই ওজন কমতে শুরু করে ও কোলেস্টরলও নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে আসে। (২),(৩)
কিভাবে ব্যবহার করেন?
ওজন কমানোর জন্যে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনে রয়েছে সালফার যা জৈব পদার্থে ভরপুর ও এস-এলিলসিস্টিন। এই দুটোই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ প্রায় সিস্টোলিকে ১০ mmHg ও ডায়াস্টোলিকে ৮ mmHg কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। শরীরে সালফারের পরিমাণ কম হলেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। (৪)
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিন ২ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যেস করুন।
৩. ডায়বেটিস রোধকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুন ডায়বেটিস কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এটি শরীরে গ্লুকোসের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই ডায়বেটিস কমতে শুরু করে (৫)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কাঁচা রসুন নিয়মিত ৩ থেকে ৪ কোয়া খাওয়ার অভ্যেস করুন।
৪. সর্দি কাশি থেকে মুক্তিকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাস কষ্টের জন্যে রসুন দারুন উপকারি। রসুন ফুসফুসের জমাটভাব দূর করে বুকে বসে যাওয়া কফ নিমেষে তরল করে বের করে দেয়। এমনকি, যাদের শ্বাস কষ্ট বা এসাথেমার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও রসুন বিশেষভাবে সাহায্য করে (৬),(৭)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা বা শ্বাস কষ্ট থাকলে ৩ চামচ সর্ষের তেলের মধ্যে ২-৩ কোয়া রসুন ফেলে সেটি গরম করে সারা শরীরে ভালো করে মালিশ করুন। বেশ আরাম পাবেন। তবে এটি করার আগে একবার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
৫. কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
আমেরিকার একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনের সাহায্যে কম করে ১০% কোলেটরল নামিয়ে আনা যায় কারণ রসুন জল ও তেল দুটির সাথেই ভালো করে মিশে যেতে পারে। এর ফলে ২০% থেকে ৬০% পর্যন্ত হাইপারকোলেস্টরোল জড়িত সমস্যা রোধ করা যায় (৮)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন ১ থেকে ২ কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান, কোলেস্টরল সহজেই কমে যাবে।
৬. হার্টের জন্যে রসুনকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনের সাহায্যে প্রায় সব রকমের হার্টের সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। রসুন হার্টের কোলেস্টরল, লিপিড ও সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে প্লেটলেট সংখ্যাও সঠিক থাকে। এছাড়া এথেরোস্ক্লেরোসিসের বিরুদ্ধেও রসুন দারুন কাজ করে (৯), (১০)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা হার্টের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে দেখা যায়। রোজ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান, উপকার নিশ্চয়ই পাবেন।
৭. আর্থারাইটিসের চিকিৎসায় রসুন
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
দীর্ঘদিনের ব্যস্ততা, অনিয়ম ও বয়স বাড়ার ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য দিনে দিনে ভঙ্গুর হতে শুরু করে যার ফলে আর্থারাইটিস বা অস্টিওপোরোসিসের মত সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রসুন খুব কার্যকরী বলে দেখা গিয়েছে। রসুন তেল মালিশ করলে হাড়ের রস অনায়াসেই শুকিয়ে যায় যা পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রোধ করে (১১)। এছাড়া রসুনের সালফাইড হাড়ের ভঙ্গুরতা দূর করে (১২)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যে রোজ ২-৩ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
৮. গর্ভাবস্থায় সাহায্যকারীকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
গর্ভাবস্থার সময় রসুন খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। রসুনের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদানগুলি গর্ভাবস্থার সময় প্রি এক্লাম্পসিয়া রোধ করে ও শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। এছাড়া এই সময় কোলেস্টরল বা হাড়ের সমস্যা দেখা যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। রসুন এই সমস্ত সমস্যাগুলি থেকে বেশ উপকার করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
গর্ভাবস্থার সময় নিয়মিত ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন অবশ্যই খাবেন।
৯. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে রসুনকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা এন্টি অক্সিডেন্ট উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থগুলি অনায়াসে বেরিয়ে আসে ও ডি এন এ সফলভাবে তৈরি হয়। সেই কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে (১৩)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
নিয়মিত ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচ রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
১০. লিভারের জন্যে রসুনকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
লিভারে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট জমে গেলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। রসুন লিভারের এই ফ্যাট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কারণ এটি এলকোহল মুক্ত। এছাড়া এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্যাটি লিভার হওয়া রোধ করে (১৪), (১৫)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
পালং শাকের সাথে রোজ ১ থেকে ২ কোয়া রসুন ভালো করে কেটে মিশিয়ে একটি স্যালাড তৈরী করে রোজ খাওয়ার অভ্যেস করুন।
১১. ক্যান্সার রোধে রসুন
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনে রয়েছে ডাই এলিলসালফাইড ও সেলেনিয়াম যা এন্টিঅক্সিডেন্ট উৎপন্ন করে ক্যান্সারের বিরুধ্যে লড়াই করে ও ডি এন এ নষ্ট করা আটকায় (১৬)। একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনের সাহায্যে প্রায় ৩৩% পরিমানে ক্যান্সারের সম্ভাবনা রোধ করা যায় (১৭)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ১ টুকরো কাঁচা রসুন প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়ার অভ্যেস করুন। তারপর ১৫মিনিট হাঁটার অভ্যেস করুন। উপকার পাবেন।
১২. ছত্রাকের ইনফেকশনের চিকিৎসায় রসুনকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
মহিলা বা পুরুষদের গোপনাঙ্গের চারপাশে অনেক সময় ছত্রাকের ইনফেকশন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রসুন এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে (১৮)। ক্যানডিডা বা ভ্যাগনাইটিস ইনফেকশনে রসুন উপকারী (১৯)। তবে কখনোই কাঁচা রসুন ইনফেকশনের ওপরে লাগাবেন না।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টুকরো করে কাঁচা রসুন খেলে ছত্রাকের সমস্যা দূর হয়।
১৩. কিডনির ইনফেকশন দূর করতে রসুন
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
ক্র্যানবেরির পাশাপাশি রসুনও কিডনির ইনফেকশনের জন্যে দারুণ কার্যকরী। যেসব প্যাথোজিনের জন্যে ইউ.টি.আই হয়ে থাকে সেগুলি রসুনের দ্বারা রোধ করা যায় (২০)। এছাড়া ই- কোলাই ইনফেকশনও এই রসুনের সাহায্যে রোধ করা যায় (২১)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কিডনি ইনফেকশন রোধ করতে রোজ ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
১৪.গ্যাসের সমস্যা দূর করেকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
গ্যাসের সমস্যা একটি খুব সাধারণ অথচ ব্যথাদায়ক সমস্যা যা রোজকার জীবনকে উলটপালট করে দিতে পারে। এই ধরণের গ্যাসের সমস্যা হলে রসুন খুব কার্যকরী। রসুন ব্যাকটিরিয়া দূর করে ইন্টেস্টাইনের সমস্যা রোধ করে (২২)। এছাড়া রসুন পাইলোরি ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও কাজ করে (২৩)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ব্রেকফাস্টের সময় ১ কোয়া কাঁচা রসুন জলের সাথে খাওয়ার অভ্যেস করুন।
১৫. জ্বরের সময় ভালকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
জ্বর, সর্দি, কাশি হলে রসুন খুব উপকারী। রসুন শরীর গরম করে ঠান্ডা লাগা ও জ্বরের সমস্যায় বুকের কফ তরল করে তা পরিষ্কার করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
সর্দি ও জ্বর হলে কাঁচা রসুন কয়েক চামচ সর্ষের তেলের মধ্যে ফেলে হালকা গরম করে গায়ে মালিশ করুন। এছাড়া রসুন কালো জিরে দিয়ে ভেজে তা ভাতে মেখে খেতে পারেন। উপকার নিশ্চয়ই পাবেন।
১৬. গলা ব্যথার জন্যে ভাল
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা সাধারণত ভাইরাস জড়িত কারণে হয়ে থাকে। রসুনে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট, এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদানগুলি গলা ব্যথা বা গলা ফুলে যাওয়াকে সারিয়ে তোলে ও আরাম দেয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
গলা ব্যথা হলে রোজ ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচা রসুন খালি পেটে খান ও উপকারিতা ভোগ করুন।
১৭. এস্থেমা বা স্বাস কষ্টের জন্যকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যে রসুন খুব কার্যকরী একটি ওষুধ। ফুসফুসের চাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যে রসুন বিশেষভাবে কাজ করে যা নিশ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে আরাম প্রদান করে (২৪) , (২৫)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন খাবারের সাথে ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন ও রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে সর্ষের তেলে রসুন গরম করে তা বুকে মালিশ করুন।
১৮. কানে ব্যাথা থেকে মুক্তি
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
কানে ব্যথা হওয়ার মূল কারণ হল ইনফেকশন। রসুনে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কানের ইনফেকশনের বিরদ্ধে কাজ করে কানের ইনফেকশন সারিয়ে তোলে। ফলে কানে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন |
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যেস করলে কানের ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
১৯. ফাঙ্গাস জড়িত ইনফেকশন থেকে মুক্তিকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
ফাঙ্গাস জড়িত ইনফেকশন হলে নানারকমের সমস্যা দেখা যায় যেমন চুলকানি, দাদ, হাজা, ইত্যাদি। এগুলির আসল কারণ শুধুমাত্র বাইরে নয়, ভিতর থেকে উৎপন্ন হয়। রসুনে রয়েছে সালফাইড যা শরীরের ভেতর থেকে ফাঙ্গাস ইনফেকশন সারিয়ে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচা রসুন খালি পেতে খাখাওয়ার উপকারিতা ফাঙ্গাসের ক্ষেত্রে ভালোভাবে দেখা যায়।
২০. দাঁতে ব্যথার সমস্যা দূর করেকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ একটি করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাবার অভ্যেস করুন, দাঁতের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
২১. ব্রণর জন্যে ভালো
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি ত্বকের কোষে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ও ব্যাকটিরিয়াগুলিকে টেনে বের করে আনে। এর ফলে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় (২৯)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন এক গ্লাস জলের সাথে খাওয়ায় অভ্যেস করুন। এছাড়া রোজ ৩ ঘন্টা ছাড়া জল পান করে থাকুন। এতে ত্বকের উপকার হয়।
২২. সোরিয়াসিস থেকে মুক্তিকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
সোরিয়াসিস হল ত্বকের এমন একটি সমস্যা যা দেখতে লালচে ও আঁশটে মত হয় ও এতে প্রচুর পরিমানে চুলকানি হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কুনুই, মাথার ত্বক ও হাঁটুতে হয়ে থাকে। রসুনে রয়েছে এন্টিইনফকমেটরি উপাদান যা সোরিয়াসিস সারিয়ে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ৩ কোয়া কাঁচা রসুন ব্রকোলি ও বিটের সাথে খাওয়ার অভ্যেস করুন।
২৩. একজিমার জন্যে ভাল
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
একজিমা হলে ত্বক রুক্ষ ও ফুলে ওঠে এবং তার সাথে থাকে চুলকানি। রসুন তার এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান দিয়ে এই সমস্ত এলার্জি জাতীয় সমস্যা সারিয়ে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন এক গ্লাস জল দিয়ে এক থেকে দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
২৪. দাদের সমস্যার জন্যে ভালোকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনের এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান দিয়ে সহজেই দাদের সমস্যা দূর করা যায়। এর থেকে চুলকানি, জ্বালাভাব ও নানারকমের সমস্যা দূর হয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন এক গ্লাস জল দিয়ে এক থেকে দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন।
২৫. ফোসকায় আরাম দেয়কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
ফোসকা পড়ে যাওয়ায় উপকারিতা এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে দেখা যায়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
ত্বকের কোনো জায়গায় ফোসকা পড়ে গেলে রোজ সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন। ফলাফল নিশ্চয়ই পাবেন।
২৬. বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে আনে
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
প্রতিদিনের ব্যস্ততা, মানসিক চাপ, অনিয়ম ও নানারকমের বাহ্যিক কারণে মুখে শীঘ্রই বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করে। তারপর সূর্যের প্রখর কিরণও এর জন্যে অনেকটাই দায়ী। রসুনে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাব সমতল করে তোলে ও কম বয়সে বার্ধক্যের ছাপ রোধ করে (৩০),(৩১)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলের মধ্যে লেবু ও মধুর সাথে ১ কোয়া রসুন মিশিয়ে সেটি পান করুন। এছাড়া ত্রিফলার জলের সাথেও কুচোনো রসুন মিশিয়ে সেটি পান করতে পারেন।
২৭.স্ট্রেচ মার্কস দূর করেকিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুন ত্বকের স্ট্রেচ মার্কস কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও কার্যকরী। ত্বকের যেকোনো অংশে স্ট্রেচ মার্কস দেখা গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আরো বেড়ে যায়। রসুন এই চিহ্নগুলি সহজেই কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
রোজ ২ চামচ অলিভ তেল বা সর্ষের তেলের মধ্যে ২ কোয়া রসুন ফেলে তা ভালো করে গরম করে সারা শরীরে মালিশ করুন। ফলাফল নিশ্চয়ই পাবেন।
চুলের জন্য রসুনের উপকারিতা – Hair Benefits of Garlic in Bengali
আপনি কি জানেন চুলের জন্যে রসুন কতখানি উপকারি? আসুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।
২৮. চুল পড়ার সমস্যায়কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
চুল পড়া একটি গুরুতর সমস্যা যা সকলের জন্যে বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হল দূষণ, জল বিশুদ্ধ না হওয়া, মানসিক চাপ ও খাওয়ার অনিয়ম। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনের জেলে রয়েছে বিটামিথাসন ভালেরেট যা চুল পড়ার সমস্যা রোধ করে (৩২)।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
পালং শাক দিয়ে একটি স্মুদি তৈরী করে তার মধ্যে এক টুকরো কাঁচা রসুন মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া রান্নায় ভালো করে রসুন ব্যবহার করুন। চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে।
২৯. খুশকি দূর করে
কিভাবে ও কেন সাহায্য করে?
রসুনে রয়েছে এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকরী। নিয়মিত রসুন খেলে খুশকির সমস্যার হাত থেকে অনায়াসে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
খুশকির সমস্যা রোধ করতে সপ্তাহে দুবার করে নারকেল তেলের সাথে এক কোয়া রসুন গরম করে সেটি মাথায় ভালো করে মালিশ করুন। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
রসুনের পুষ্টিগত মান – Garlic Nutritional Value in Bengali
রসুনে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান যা বিশেষভাবে উপকারী। তার মধ্যে অন্যতম হল ফ্লাভোনোয়েড, অলিগোস্যাকারাইড, এলিন, ও সালফার (৩৩)। বিস্তারিত ভাবে রসুনের পুষ্টিগত মান জানতে নিচের তালিকাটি ভাল করে পড়ে দেখুন:
কার্বোহাইড্রেট ৩৩.০৬ গ্রাম ২৫%
প্রোটিন ৬.৩৬ গ্রাম ১১%
ফ্যাট ০.৫ গ্রাম ২%
কোলেস্টরল ০ মিলিগ্রাম ০%
ফাইবার ২.১ গ্রাম ৫.৫ %
ভিটামিন
ফোলেট ৩ µg ১%
নায়াসিন ০.৭০০ মিলিগ্রাম ৪%
প্যান্টোথেনিক এসিড ০.৫৯৬ মিলিগ্রাম ১২%
পাইরিডক্সিন ১.২৩৫ মিলিগ্রাম ৯৫%
রিবোফ্লাবিন ০.১১০ মিলিগ্রাম ৮%
থায়ামিন ০.২০০ মিলিগ্রাম ১৭%
ভিটামিন এ ৯ IU ১%
ভিটামিন সি ৩১.২ মিলিগ্রাম ৫২%
ভিটামিন ই ০.০৮ মিলিগ্রাম ০.৫%
ভিটামিন কে ১.৭ µg ১.৫%
ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম ১৫৩ মিলিগ্রাম ১০%
পটাসিয়াম ৪০১ মিলিগ্রাম ৮.৫%
মিনারেল
ক্যালসিয়াম ১৮১ মিলিগ্রাম ১৮%
কোপার ০.২০০ মিলিগ্রাম ৩৩%
আয়রন ১.৭০ মিলিগ্রাম ২১%
ম্যাগনেসিয়াম ২৫ মিলিগ্রাম ৬%
ম্যাঙ্গানিজ ১.৬৭২ মিলিগ্রাম ৭৩%
ফসফরাস ১৫৩ মিলিগ্রাম ২২%
সেলেনিয়াম ১৪.২ µg ২৬%
জিঙ্ক ১.১৬০ মিলিগ্রাম ১০.৫%
ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট
ক্যারোটিন বি ৫ µg –
ক্রিপ্টো জানথিন ০ µg –
লিউটিন-জিজানথিন ১৬µg –
রসুন কয় ধরণের হয় – Types of Garlic in Bengali
রসুনের বেশ কয়েকটি প্রকার রয়েছে যেমন সরু গলার রসুন, রুপোলি রঙের রসুন, আর্টিচোক রসুন ও শক্ত গলার রসুন।
রুপোলি রঙের রসুন – এই ধরণের রসুনে একটু হালকা গোলাপি রেখা থাকে ও এটি বেশ ঝাঁঝালো হয়।
আর্টিচোক রসুন – এই ধরণের রসুনের ঝাঁঝ একটু কম হয়। এর কোয়াগুলি আকারে বেশ বড় হয় কিন্তু সংখ্যায় কম।
শক্ত গলার রসুন – এই রসুনের রং হালকা বেগুনি হয়ে থাকে এবং এটি বেশ শক্ত হয়। এই ধরণের রসুন আবার ৩ ধরণের হয়- রক্যাম্বল রসুন, প্রসিলেইন রসুন ও বেগুনি খোসার রসুন (৩৪)।
রসুন খাওয়ার সঠিক সময় ও পদ্ধতি – Best Way to Eat Garlic in Bengali
আমরা আগেই বলেছি যে রসুন এর উপকারিতা নানারকম ভাবে আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। আপনি নানারকম ভাবে রসুন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে রসুন খাওয়ার উপকারিতা যদি সঠিকভাবে পেতে চান তাহলে অভ্যেস করুন এটি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে। এমনকি খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা আরো বেশি করে প্রমাণিত হয়েছে। এর জন্যে আপনাকে এক কোয়া রসুন নিয়ে এক গ্লাস জল দিয়ে গিলে ফেলতে হবে।
এছাড়াও, আপনি অন্যান্যভাবে রসুন খেতে পারেন। রসুন থেঁতো করে বা কুচি করে কেটে বা বেটে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। ভাজা রসুন যেকোনো সুস্বাদু খাবার যেমন পাস্তা, চাউমিন, পাউরুটি, স্যুপ, তরকারি, স্যালাড, ডাল, ইত্যাদিতে ব্যবহার করলে একটি অন্যতম স্বাধ ও গন্ধ ফুটে ওঠে। মনে রাখবেন, এক কোয়া নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের নানা রোগ ব্যাধি থেকে অনায়াসে মুক্তি পেতে পারেন।
রসুনকে বেশিদিন সুরক্ষিত রাখার উপায় – How to Store Garlic in Bengali
রসুন সংরক্ষণ করা খুব একটা কঠিন নয়। জেনে নিন রসুন কেনার ও সুরক্ষিত রাখার কিছু কিছু টিপ্স।
রসুন কেনার আগে ভাল করে তা হাতে ধরে টিপে দেখে নিন যে কোনোরকম আর্দ্রতা বা নরম ভাব আছে কি না। নরম বা আর্দ্র হলে তা খুব তাড়াতাড়ি পচে যেতে পারে। তাই কিনবেন না।
রসুন সেরকম দেখেই কিনুন যেগুলি বেশ শক্ত ও ডাঁটির সাথে আটো সাটো করে বাধা থাকে।
আপনার যদি প্রায় দিনই রসুন খাওয়ার অভ্যেস থাকে তাহলে বড় কোয়া দেখে রসুন কিনবেন। কারণ, ছোট কোয়ার রসুনের খোসা ছাড়ানো খুব সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
রসুন ছাড়ানোর ও সংরক্ষণ করার সেরা উপায় হল কোয়াগুলিকে ছাড়িয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপর একটি মুখ বন্ধ করা স্টিলের বাটিতে রেখে ভালো করে ঝাঁকানো। তাতে এক মিনিটের মধ্যে সব খোসা বেরিয়ে আসে।
রসুন কখনও ফ্রিজে রাখবেন না। সাধারণ ঘরোয়া তাপমাত্রায় শুকনো জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করবেন।
খোসা ছাড়িয়ে বেশিক্ষণ রসুন রাখলে রসুনের আসল গন্ধ চলে যায়; তার বদলে একটি অন্যরকম ঝাঁঝালো গন্ধ ফুটে ওঠে। সেটি তখন আর ভালো লাগেনা। তাই ঠিক রান্নায় ব্যবহার করার আগে বা খাওয়ার আগেই সেটির খোসা ছাড়াবেন।
খোসা ছাড়িয়ে রসুন রাখলে তা একটি মুখ বন্ধ করা শুকনো ব্যাগে রাখবেন। তার আগে সেগুলিকে একটু ভিনিগার বা তেল দিয়ে মাখিয়ে নেবেন।
রসুনের অপকারিতা – Side Effects of Garlic in Bengali
রসুন খাওয়ার উপকারিতা এতখানি থাকার সত্ত্বেও এর কিছু কিছু অপকারিতাও রয়েছে যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত। রান্নায় ব্যবহার করা রসুনের থেকেও বিশেষ করে কাঁচা রসুনের অপকারিতা বেশি। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
২. বেশি পরিমাণ কাঁচা রসুন খেলে বুকে জ্বালাভাব ও ব্যাথার অনুভূতি হয়, যার ফলে বমি পেতে পারে।
৩. অত্যাধিক কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি, পেটে জ্বালাভাব, ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
৪. কাঁচা রসুন বেশি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাতে পারে যার ফলে খুব ঘাম হয়।
৫. মাইগ্রেন বা অত্যাধিক মাথা ধরার সমস্যা থাকলে কম রসুন খাওয়াই ভাল। বেশি পরিমাণ কাঁচা রসুন খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়।
৬. অত্যাধিক রসুন খাওয়ার ফলে দৃষ্টি শক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। এর ফলে চোখের ভেতরে রক্তপাত বা হাইফেমার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু বেশি রসুন খেলে রক্তচাপের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে।
৮. বেশি রসুন খেলে ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ঘামাচি বা শুস্কতা দেখা দেয়।
৯. কম রসুন খেলে যোনির ইনফেকশন যদিও কমে যায়, কিন্তু বেশি খেলে তা আবার বেড়ে যায় ও যোনিতে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
১০. অত্যাধিক রসুন খাওয়ার ফলে লিভারে বিষাক্ত ক্রিয়াকলাপ সৃষ্টি হতে পারে যা আপনার লিভারের কার্যকলাপকে নষ্ট করে দিতে পারে।
কাদের রসুন খাওয়া উচিত নয় – Who Should Avoid Garlic in Bengali
আপনার যদি নিচের তালিকার কোনো একটি পরিস্থিতি বা সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার একেবারেই রসুন খাওয়া উচিত না।
অনেকের রসুন খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা যায়। তাদের রসুন খাওয়া উচিত নয়।
পেটের আলসার, আই.বি.এস, আই.বি.ডি. বা যেকোনো রকমের ইন্টেস্টাইনের সমস্যা থাকলে রসুন খাওয়া উচিত নয়।
কোনোরকম সমস্যার জন্যে যদি আপনার ডাক্তার রসুন খেতে না করেন, তাহলে রসুন খাওয়া উচিত নয়।
সবকিছুর মধ্যেই ভালো ও মন্দ দুটি দিকই থাকে। এক্ষেত্রেও তাই। তাই আপনাকে ঠিক করতে হবে ঠিক কতটা পরিমাণ রসুন খাওয়া আপনার জন্যে ঠিক। যাই হোক না কেন, রসুন খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণ রসুন অবশ্যই খাওয়া উচিত। এর ফলে আপনার শরীরের নানারকমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। রসুন নিয়ে আমাদের এই তথ্যগুলি কেমন লাগলো আপনার? এর মধ্যে কোনোটা কি আপনার কাজে লাগল ? কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
আমাদের পোস্ট টি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অথবা এই পোস্ট থেকে আপনি যদি উপকৃত হন, তাহলে আপনার একটি মূল্যবান কমেন্ট করেদিন,
এতে আমরা আরো অনুপ্রাণিত হতে পারি।
আপনার একটি কমেন্ট আমাদের আরো বেশি উৎসাহিত করে
Thank You
No comments:
Post a Comment