আমের পুষ্টিগুণ
আম নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান উপস্থিত থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) মতে, এক কাপ (১৫৫ গ্রাম) কাটা আমের মধ্যে রয়েছে –
প্রোটিন – ১.৩৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট – ২৪.৭ গ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার – ২.৬৪ গ্রাম
ফ্যাট – ০.৬২৭ গ্রাম
শর্করা – ২২.৫ গ্রাম
ফোলেট – ৭১ এমসিজি
ভিটামিন সি – ৬০.১ এমসিজি
ক্যালসিয়াম – ১.২ মিলিগ্রাম
আয়রন – ০.২৬৪ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম – ১.৬৫ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম – ২৭৭ মিলিগ্রাম
আমের কত প্রকার ও কি কি
আম ৩৫ প্রকার আছে।
এর বিভিন্ন জাত আছে যেমনঃ ১।ফজলী, ২।গোপালভোগ, ৩।ল্যাংড়া, ৪।খিরসা, ৫।অরুনা, ৬।আম্রপালি, ৭।মল্লিকা, ৮।সুবর্ণরেখা, ৯।মিশ্রিদানা, ১০।নিলাম্বরী, ১১।কালীভোগ, ১২।কাচামিঠা, ১৩।আলফানসো, ১৪।তোতাপুরী, ১৫।বারোমাসী, ১৬।কারাবাউ, ১৭।কেউই সাউই, ১৮।গোপাল খাস, ১৯।কেন্ট ম্যাংঙ্গো, ২০।সূর্যপুরী, ২১।পাহুতান, ২২।ত্রিফলা, ২৩।হাড়িভাঙ্গা, ২৪।ছাতাপুরী, ২৫।গুঠলি, ২৬।অ্যাষ্ঠা ২৭। ত্রিপাতি ২৮।আরচ ম্যাংঙ্গো ২৯।আমিতা আম ৩০।আরিষা পাত ৩১।যমজখিরি ৩২।বোম্বে ফজলী ৩৩।আড়ষ্ট আম ৩৪। শঙ্খ আম ৩৫।মারিচা ম্যাংঙ্গো
আমের উপকারিতা… health benefits of mango
আম আমাদের সবার পছন্দের একটা ফল। আম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। ভিটামিন , মিনারেল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সহ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং প্রয়োজনীয় অনেক উপাদানই আমের মধ্যে রয়েছে।
আমের উপকারিতার কথা জানব ..............
২। কোলেস্ট্রেলরের মাত্রা কমায়ঃ আমে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পেক্টিন এবং ভিটামিন সি আছে। এইসব উপাদান শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
৩। ত্বক সুন্দর রাখেঃ আম খেলে বা ত্বকের উপর ব্যবহার, দুইটাই ত্বকের জন্য উপকারী। আম আমাদের ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ খুলে দিয়ে ব্রণ থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।
৪। চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃ ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। এক কাপ আমে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিনের এ এর চাহিদার ২৫% ভিটামিন এ থাকে। নিয়মিত আম খেলে এটি আমাদের রাতকাণা রোগ ও শুষ্ক চোখের সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।
৫। শরীরের অম্ল অ ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করেঃ আমে টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড এবং সাইট্রিক এসিড থাকে যা আমাদের শরীরের অম্ল অ ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
৬। ডায়বেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ আমের পাতায় এমন উপাদান আছে যা আমাদের রক্তের ইন্সুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। গরম পানিতে আমের পাতা সিদ্ধ করে, সারারাত সেই পানিতে পাতা ভিজিয়ে ভোর বেলা সেই পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৭। হজমে সাহায্য করেঃ আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা আমাদের হজমে সাহায্য করে।
৮। প্রচণ্ডে গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে আম খানঃ প্রচণ্ড গরমে কাঁচা আমের জুস আমাদের শরীরকে প্রশান্ত অ ঠাণ্ডা করে। প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে অধিক পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায় এবং টক্সিক পদার্থের মাত্রা বেড়ে যায়। গরমের সময় আমের জুস শরীরের পানি শুন্যতা যেমিওন দূর করে তেমনি ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়।
৯। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ আমে প্রচুর ভিটামিন সি, এ এবং প্রায় ২৫ রকমের ক্যারটিনয়েড আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের সাস্থবান বানায়।
১০। এজমা প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এজমা অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment