গম এর উপকারিতা
গমের খাওয়া থেকে শরীরের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:
গমের উপকারিতা–Benefits of Wheat
- গাঁটের ব্যাথাকে কমায়
যে বয়সই হোক না কেন এটি গাঁটের ব্যাথাকে কমানোর ক্ষেত্রেও একে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
2. খুশকিও দূর করে
আপনি যদি গমের রসকে মাথায় লাগিয়ে রাখেন ও তারপর ১৫ মিনিট পরে মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন, তাহলে তাহলে আপনার খুশকি নিয়ে দুশ্চিন্তাও মিতে যাবে।
3. ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন
একজিমা, রোদে পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটিকে অয়েন্টমেন্টের মতো ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাবেন। ব্রন বা মুখের দাগের ক্ষেত্রেও এটির উপকারিতা পাবেন,
4. ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী এটি
আপনার যদি থাকে ডায়াবেটিস, তাহলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে দিয়ে এটি সেক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে।
5. লিভারের পক্ষে উপকারী
আপনার পেটের এই অংশটি যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে হজম না হওয়া থেকে শুরু করে আরও বিপজ্জনক নানান অসুখই হতে পারে আপনার। এ ক্ষেত্রে গমের রস সার্বিকভাবে আপনার লিভারকে পুরোপুরি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
6. দাঁতের ক্ষয় রদ করে
দাঁতকে দীর্ঘায়ূ করার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা গুরুত্বপুর্ন। দাঁতের মাড়িকেও এটি সুস্থ রাখে।
7. হার্টের ক্ষেত্রে উপকারী
এতে থাকা ক্লোরফিল আপনার কার্ডিওভাসকুলার মেকানিজমকে স্বক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
8. আপনার বয়সকে ধরে রাখে
এতে থাকা এনজাইমের একাধিক উপকারিতার মধ্যে এটি একটি। আপনার বয়সের ছাপও আপনার শরীরে ও মনে পরবে না। বয়সের গতিও অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এর নিয়মিত ব্যবহার।
9. স্ট্রেস কমায়
গমের রসে থাকা ভিটামিন বি মানসিক স্ট্রেসকে অনেকটাই নিরসন করে। ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রেও কাজে দেয়।
10. আপনার যৌন ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়
ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরফিল ও এনজাইমের ফলে আপনার শরীরে সেক্স হরমোনের ক্ষরনের কোনও খামতি হয় না। এতে আপনার লিবিডো ও সেক্সুয়াল ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে আপনার সঙ্গিকে খুশি করার আত্মবিশ্বাসেরও কোনও অভাব হবে না।
11. ক্লোরফিলের প্রভুত জোগান
এতে ক্লোরফিলের ৭০ শতাংশ উপস্থিতি আপনাকে একসাথে একাধিক দুরূহ রোগের হাত থেকে বাঁচায়। এমনকি, ক্লোরফিলের এত ভালো জোগান আপনি আর কোনও ভেষজে পাবেন না। এই পরিমাণ ক্লোরোফিল রক্ত শোধিত করতে, হার্টের একাধিক সমস্যার ক্ষেত্রে ও অন্যান্য সমস্ত শারীরিক সমস্যায় খুবই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা নিয়ে থাকে।
12. শরীরকে দুষন থেকে রক্ষা করে
এতে থাকে শক্তিশালী এনজাইম ও বায়ো কেমিক্যাল যা দূষিত টক্সিন, ভারী ধাতু, এমনকি রেডিয়েশন থেকেও আপনার শরীরকে রক্ষা করে।
13. অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল
এটি একটি অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান। আপনার শরীরে বাসা বেঁধে থাকা সমস্ত ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়াগুলিকে নির্মুল করার জন্য এটি একটি অদ্বিতীয় উপাদান।
14. কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রনে রাখে
এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখে।
15. আপনার নখের সৌন্দর্য্য বাড়ায়
এতে থাকা আয়রন আপনার নখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকটা প্রভাব ফেলে। ফলে গমের রসে এতগুলি সমাধান যখন একসাথে পাচ্ছেন, তখন বাকি সমস্ত কিছুর থেকে একে আলাদা করে দেখতেই হবে। বিশেষজ্ঞদের কাছে তাই এটি “মিরাকেল ফুড” – এর তকমা পেয়েই গেছে। আপনি যদি চান আপনার সাথেও ঘটুক এমনই মিরাকেল, তাহলে আজই একবার ট্রাই করেই দেখুন গমের রস।
১. পরিপাক বা হজমে সহায়ক
গমের ভুসি খাবার পরিপাক বা হজমের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সস অ্যাণ্ড নিউট্রিশান কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে একথা প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছে যে গমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা হজমে সহায়তা করে একইসাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও লাঘব হয়ে যায়। এটি খাদ্যে উপস্থিত কিছু বিষাক্ত পদার্থ যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর সেগুলিকে পৃথক করতে পারে। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি পেট সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা যেমন ব্যথা বা যন্ত্রনা, পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদির উপশম ঘটায়।
২. ক্যান্সার নিয়ন্ত্রক
গমের ভুসি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রকও বটে। অকল্যাণ্ড ক্যান্সার সোসাইটি রিসার্চ সেন্টার এবং অকল্যাণ্ড মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে গমের ভুসিতে উপস্থিত ডায়টারি ফাইবার ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও জানা গেছে যে গমের ভুসি পাকস্থলী এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া গমের আটায় তৈরী রুটিতে ভুসির পরিমান খুবই অল্প থাকে। তাই মনে করা হয় শুধু গমের ভুসি বলেই নয় গমের মধ্যস্থ অন্যান্য উপাদানও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে ক্যান্সার প্রতিরোধে গমের ভুসির ভূমিকার বিষয়ে আরোও বেশি গবেষণার প্রয়োজন আছে। একইসাথে এটাও মনে রাখা দরকার যে একমাত্র গমের ভুসিই ক্যান্সার প্রতিরোধক বা ক্যান্সারের নিরামায়ক এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা উচিৎ।
৩. হার্টের স্বাস্থ্যোন্নতি করে
হার্টের স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য কিছু হলেও গমের ভুসির একটা কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে গমের ভুসির মধ্যস্থিত ডায়ট্রি ফাইবার মূলত এই জন্য দায়ী। এছাড়াও এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাবযুক্ত ফাইটোকেমিক্যালস হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই ফাইটোকেমিক্যাল ভালো কোলেস্টেরল এবং প্লেটলেটের ( অনুচক্রিকা, চোট আঘাতের স্থান থেকে নিরবিচ্ছিন্ন রক্তপাত প্রতিরোধ করে।) পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করে থাকে। শুধু তাই নয় এটা হার্টের জন্য ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরণের চর্বি) কমাতে সাহায্য করে। এইসব বৈশিষ্ট্যের জন্য বলা হয় গমের ভুসি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপাদেয়।
৪. পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা প্রতিরোধক
ইতিমধ্যে পরিপাক ক্রিয়ায় গমের ভুসির উপকারীতার ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি। একথাও জেনেছি যে গমের ভুসি ফাইবারের একটি প্রধান উৎস। এই ফাইবারের উপস্থিতির কারণেই কোষ্ঠ্য কাঠিন্য, পেটে ব্যাথা, খিঁচুনী, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যার লাঘব হয়। তাই একথা বললে কিছু ভুল হবেনা যে পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যারই অনায়াসে উপশম করে গমের ভুসি।
No comments:
Post a Comment