তরমুজের উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকারক দিক – Watermelon Benefits, Uses and Side Effects in Bengali]
তরমুজ একটি সুস্বাদু ও রসালো ফল যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমানে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি (২)। কিন্তু যার জন্যে তরমুজের উপকারিতা আরও বেশি হয়ে ওঠে তা হল লাইকোপেন নামে এক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যার ফলে তরমুজের রং এতখানি লাল হয়ে থাকে। তরমুজে উপস্থিত এই লাইকোপেন বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে যা স্ট্রোকের সম্ভাবনা অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকরী (৩)। যদিও অন্যান্য অনেক ফলের মত এতে ফাইবারের পরিমান অতখানি নেই, কিন্তু এতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম যা শরীরে ফ্যাট জমতে দেয়না ও জলের পরিমান বাড়িয়ে দেয়।
নীচে বিস্তারিত ভাবে তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া হল। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে তরমুজের উপকারিতা এতটাই যে প্রতিদিন অন্তত এক টুকরো করে তরমুজ খেলে নিষ্প্রয়োনীয় ও ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে দূরে রাখা যায় যা হার্ট সংক্রান্ত রোগগুলিকে প্রতিরোধ করতে পারে (৪)। তরমুজে উপস্থিত সিট্রোলিন হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ভাল। কারণ মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর যে মাঝে মাঝে ধমনী শক্ত হয়ে যায় যা ব্যাথার সৃষ্টি করে, সেটি রোধ করে করতে সাহায্য করে এই সিট্রোলিন (৫)।২. হজম ক্ষমতা বাড়াতে
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে জল যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে (৬)। এছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও খাবার হজম করিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে (৭)।৩. ওজন কমানোর জন্য
তরমুজের সবথেকে বড় উপকারিতা হল এটি ওজন কমানোর জন্যে কার্যকরী জানা যায় কারণ তরমুজে জলের পরিমান খুবই উচ্চ (৬)। এর ফলে বিপাক ক্রিয়া সঠিক থাকে ও শরীরকে নানা ধরণের বিষক্রিয়া পদার্থ ও ফ্যাট থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে, যা ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে (৮)।একটি তরমুজের বড় টুকরোয় মাত্র ৮৬ ক্যালোরি , ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ১ গ্রামের থেকেও কম ফ্যাট থাকে এবং কোনোরকম কোলেস্টেরল থাকে না। এটি আপনার শরীরের প্রতিদিনের ফাইবারের প্রয়োজনীয়তাকে ৫% মেটায় (৯) যা শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
৪. শরীর আর্দ্র রাখতে
তরমুজে রয়েছে ৯০% জল যা শরীরকে বেশ আর্দ্র রাখে (১০)। তাই চা বা কফির তুলনায় তরমুজ খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। তাই প্রস্রাবের পরিমান ঠিক থাকে ফলে কিডনিতে চাপ পড়ে না (১১)।৫. ক্যান্সার রুখতে
তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটা কমিয়ে আনে (১২) (১৩)। এই লাইকোপেনের জন্যেই তরমুজের রং গাঢ় লাল হয় এবং এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর যা ক্যান্সার রোধ করে (১৪)। দু কাপ তরমুজে রয়েছে ২০গ্রাম লাইকোপেন যা নানা ধরণের ক্যান্সারের বিরুধ্যে লড়াই করতে সাহায্য করে (১৫)। প্রস্ট্রেট ক্যান্সারের জন্যে লাইকোপেন কেমো থেরাপির মত কাজ করে যা সহজেই ক্যান্সারের কোষগুলি নষ্ট করে দেয় বলে জানা গেছে (১৬)। তবে এই ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।৬. মাংস পেশী ঠিক রাখতে:
ব্যায়াম বা জিম করার পর মাংস পেশীতে যখন ব্যাথা করে তখন ইলেকট্রোলাইট ও অ্যামাইনো অ্যাসিড ভরপুর সিট্রোলিন ( l-Citrulline) আরামদায়ক একটি ঔষধির কাজ করে (১৭)। তরমুজে রয়েছে এই সিট্রোলিন যা মাংস পেশির ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম বলে জানা গেছে (১৯), (২০)। তাই তরমুজ খেলে শরীরে জমে যাওয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড দূর হয় ও মাংস পেশি সচল রাখে (১৮)। তাই তরমুজের উপকারিতা পাওয়ার জন্য এর রস পান করার অভ্যেস করুন (১৯)।৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
তরমুজ ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে (২০)। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ যা অ্যান্টিবডি গঠন করতে সাহায্য করে (২১)। এর ফলে শ্বেত রক্ত ক্ষণিকা সঠিক পরিমানে তৈরী হয়। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ শরীরকে নানা ধরণের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে (২২)।৮. হাঁপানির ক্ষেত্রে
তরমুজে উপস্থিত লাইকোপেন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা শরীরের নানা সমস্যা যেমন ঠান্ডা লাগা ও জ্বর প্রতিরোধ করে (২৩)। এমনকি বয়স্কদের ক্ষেত্রেও তরমুজ হাঁপানির সমস্যা কম করতে পারে (২৪) ।৯. কিডনির সুরক্ষা
যদিও তরমুজে পটাশিয়াম রয়েছে, কিন্তু অন্যান্য ফলের তুলনায় এতে পটাসিয়াম মাত্রা বেশ কম যার ফলে কিডনির সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্যে এটি খুবই কার্যকরী (২৫)। কিডনির সমস্যা থাকলে কম পটাসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়াই উচিত এবং এক্ষেত্রে তরমুজ অনায়াসে আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন।১০. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে:
তরমুজে রয়েছে উচ্চ পরিমানে সিট্রোলিন যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে দারুন কার্যকরী (২৬)।১১. চোখের জন্যে
তরমুজ ভিটামিন এ তে পরিপূর্ণ যা চোখের জন্যে খুব প্রয়োজনীয়। ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে ও বয়সকালে দ্রুত ছানি পড়া রোধ করে। ফলে আপনি অনেক দিন পর্যন্ত স্পষ্ট দৃষ্টি শক্তির অধিকারী হতে পারেন নিয়মিত তরমুজ খেলে (২৭)।১২. ডায়াবেটিসের জন্যে
হয়তো শুনতে অবাক লাগবে যে ডায়াবেটিস কমাতে তরমুজের ভূমিকা আছে জানলে? আসলে তরমুজের শর্করার পরিমান কম থাকে এবং এছাড়া তরমুজে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ও সঙ্গে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদানও (২৮)। কিন্তু এ ব্যাপারে অবশ্যই একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।১৩. গরমে স্ট্রোক আটকাতে
শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও প্রচন্ড তেষ্টা মিটিয়ে তরমুজ শরীরে জলের পরিমান ঠিক রাখে। এর ফলে গরমে স্ট্রোক ( Heat stroke ) হওয়া রোধ করা সম্ভব হতে পারে (২৯)।১৪. হাড়ের স্বাস্থ্য
হাড়ের সুস্বাস্থের জন্যে ভিটামিন সি খুব প্রয়োজনীয় কারণ এটি হাড়ের ছোট খাটো সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে (৩০)। তরমুজ খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের চিড় ধরা রোধ করা যায় (৩১)। এছাড়া হাড়ের বৃদ্ধিতেও এর প্রভাব আছে বলে জানা যায় (৩২)।১৫. মাড়ির জন্যে
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির জন্যে খুবই ভালো (৩৩)। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্তপাত ও মাড়ির ফোলাভাব দেখা যায় যা তরমুজ নিয়মিত খেলে অনায়াসে কমতে পারে (৩৪)। তরমুজ এমনকি মুখের ভেতরের ব্যাকটিরিয়া ও মাড়ির সংক্রমণও রোধ করতে সাহায্য করে।১৬. কোষ নষ্ট হওয়া আটকায়
লাইকোপেনে সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরের কোষগুলিকে হার্টের রোগ সংক্রান্ত ক্ষতির থেকে রক্ষা করে (৩৫) ।১৭. গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে
গর্ভাবস্থার সময় বুকে জ্বালা ভাব হওয়া খুব সাধারণ। এছাড়া সকালে উঠে গর্ভবতী মহিলাদের অসুস্থ বোধ করতেও দেখা যায়। এই সবকিছু তরমুজ খেলে অনেকটা রোধ করা যায় (৩৬)। এমনকি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মাংস পেশিতে ব্যথা হওয়া রোধ করতে পারে এই তরমুজ।১৮. ফোলাভাব দূর করে
তরমুজে লাইকোপেন ছাড়াও রয়েছে আন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরের সংক্রমণ ও ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে (৩৭)।১৯. শক্তি বাড়ায়
তরমুজ হল ভিটামিন বি তে ভরপুর যা শরীরে শক্তি প্রদান করে বলে জানা যায় (৩৮)। কম মাত্রায় ক্যালোরি থাকার ফলে এটি শরীরে যথার্থ পুষ্টি প্রদান করে শরীরে শক্তির যোগান দেয় যা আপনাকে সারাদিন তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজে থাকা পটাশিয়াম শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের কাজ করে (৩৯)।একটি তাজা তরমুজের পুষ্টিগত মান (৪০) – Watermelon Nutritional Value in Bengali তরমুজের ব্যবহার – How to Use Watermelon in Bengali
তরমুজের উপকারীতা সম্পর্কে তো জানলেন, এবার আসুন দেখা নেওয়া যাক আপনি কতরকম ভাবে এই তরমুজ ব্যবহার করতে পারবেন –তরমুজ খাওয়ার সবথেকে সহজ উপায় হল এটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে অল্প একটু নুন দিয়ে খেতে পারেন। খাওয়ার আগে একটু ফ্রিজে রেখে দিলে এটি আরো সুস্বাদু হয়ে ওঠে।
তরমুজ খাওয়ার আরেকটি বিশেষ উপায় হল তরমুজের স্যালাড বানিয়ে খাওয়া। এই স্যালাড বানাতে আপনার প্রয়োজন কয়েক টুকরো তরমুজ, অল্প একটু পেঁয়াজ কুচি, শশা কুচি, লেবুর রস, কাজু বাদাম গুঁড়ো ও নুন। এই স্যালাড দেখতে ও খেতে উভয় দিক থেকেই অসাধারণ।
তরমুজ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর আইসক্রিম বানাতে পারবেন। এর জন্যে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে তাতে চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স ও তরমুজ দিয়ে গাঢ় হয়ে এলে সেটি ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি খেতে দুর্দান্ত লাগে।
তরমুজের শরবত খুব সহজেই আপনি বাড়িতে বানাতে পারেন। তরমুজ থেকে বীজ বের করে নিয়ে সেটি ব্লেন্ডারে অল্প জল বা দুধের সাথে মিশিয়ে একটু চিনি যোগ করে মিক্স করুন। এরপর সেটি পান করুন।
তরমুজের ফ্লেভারের কেক খেতেও অসাধারণ লাগে। এর জন্যে প্রয়োজন বীজ ছাড়া তরমুজ, বেকিং পাউডার, আইসিং সুগার, ডিম, অল্প সাদা তেল, দুধ ও কোকো পাউডার। এগুলি সব একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে একটি কেক তৈরির মিশ্রণ তৈরী করে নিন এবং মাইক্রোওয়েভে বসিয়ে বেক করে নিন।
তরমুজকে বেশিদিন ধরে সুরক্ষিত রাখার উপায়
তরমুজকে বেশিদিন ধরে সুরক্ষিত রাখার জন্যে আপনার প্রথমেই জানা প্রয়োজন কিভাবে কেনার সময় সঠিক তরমুজ বাছাই করবেন। নিচে সব বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল –
একটি ভাল তরমুজ কেনার আগে দেখে নিন যেন সেটি যেন টাটকা ও সমতল আকারের হয়। সেটির গায়ে যেন কোনো কাটা বা ফুটোর দাগ না থাকে।
হাতে তুলে নিয়ে তরমুজটি ভালো করে ওজন করুন। একটি টাটকা তরমুজ ভারী হওয়া উচিত। ভারী থাকার অর্থ হল এতে জলের পরিমান সঠিক রয়েছে।
তরমুজের গায়ে মাটির দাগটি লক্ষ্য করুন। যেই তরমুজে মাটির দাগ বেশি গাঢ়, সেটি সেরা। অর্থাৎ এটি মাটির সাথে ভালো করে থেকে পেকেছে এবং এতে বিষক্রিয়া পদার্থ অত বেশি নেই। মাটির দাগ হালকা থাকা মানে হল সেটি ভালোভাবে পাকার আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে।
একটি টাটকা তরমুজ কখনোই খুব বেশি ঝলমলে বা রঙিন হবেনা। টাটকা তরমুজের রং হবে হালকা সবুজ ও একটু ফ্যাকাসে।
এবারে জেনে নিন কিভাবে তরমুজ কেনার পর সেটি বহু দিন ধরে কিভাবে টাটকা রাখতে পারবেন-
একটি গোটা তরমুজ আপনি ফ্রিজে প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত অনায়াসে টাটকা রাখতে পারবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন যেন রাখার সময় সেটির গায়ে কোনো কাটা বা ফুটো না হয়ে যায় এবং ৪ ডিগ্রির নিচে যেন ফ্রিজের তাপমাত্রা না থাকে।
তরমুজ কেটে সংরক্ষণ করার উপায় হল সেটি সমান ভাবে ও সাবধানে একটি ছুড়ি দিয়ে এক ইঞ্চি আকারের টুকরো সব কেটে ফেলুন ও তারপর একটি কাঁচের বাটিতে রেখে একটি প্লেট দিয়ে ঢাকা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে আপনি ৩-৪ দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
তরমুজের ক্ষতিকারক দিক – Side Effects of Watermelon in Bengali
যতই উপকারিতা থাকুক না কেন, যে কোনো জিনিসই অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ক্ষতি হতে পারে, তেমনি তরমুজ খাওয়ারও সঠিক নিয়ম আছে। তরমুজ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিচে দেখে নিন:পেটের সমস্যা
তরমুজে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় লাইকোপেন যা অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে পেটের নানারকমের সমস্যা দেখা দেয় যেমন বমি, পেট খারাপ, হজমের সমস্যা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি।
হাইপারক্যালেমিয়া
হাইপারক্যালেমিয়া এমন একটি রোগ যেখানে শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম বেড়ে যায়, যা অতিরিক্ত পরিমান তরমুজ খেলে হতে পারে (৪১)। এর ফলে হার্টের সমস্যা যেমন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ও দুর্বল নাড়ি, ইত্যাদি সমস্যা হয়।
অ্যালার্জি
যাদের তরমুজ খেলে অ্যালার্জি হয়, তাদের কোনোভাবেই তরমুজ খাওয়া উচিত না (৪২)। এতে শরীরে চুলকানি, ত্বকের লালচে ভাব দেখা যায়।
তবে যাই হোক না কেন, গরমের দিনে তরমুজ খাওয়ার আরামই আলাদা। আগের সব তথ্য পড়ার পর তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই যোগ করুন এই সুস্বাদু ও উপকারী ফলটি।
পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
আমাদের পোস্ট টি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অথবা এই পোস্ট থেকে আপনি যদি উপকৃত হন, তাহলে আপনার একটি মূল্যবান কমেন্ট করেদিন,
এতে আমরা আরো অনুপ্রাণিত হতে পারি।
আপনার একটি কমেন্ট আমাদের আরো বেশি উৎসাহিত করে
No comments:
Post a Comment